এখন নতুন শব্দ এসেছে ক্রাশ।কুরআনে তাকে স্পষ্ট যিনা বলা হয়েছে।তারা
চোখে চোখ রেখে কথা বলছে,হাত হাত ধরছে,ফোনে কথা বলা বলছে। এগুলোকে তারা তেমন
কিছুই মনে করছে না।তারা মনে করছে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু
ইসলামে এটাকে বলে যিনা। আর এই যিনা মনের নূরকে নষ্ট করে।হাদিসে উল্লেখ
রয়েছে, ' নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজে গিয়েছিলেন। সেখানে
তিনি জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখলেন,সেখানে অধিকাংশই নারী।
( বুখারী, মুসলিম)
এখন যদি বলেন,' এখনো তো কেউ জান্নাত, জাহান্নামে যায়নি। জী যায়নি ঠিক অলরেডি আপনার রুহের জন্য সব ব্যবস্থা আগে থেকেই করা আছে
আল্লাহ জানেন ভবিষ্যতে কি হবে।আর তা নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে মেরাজে সব দেখানো হয়েছে যেনো আপনি আমিও সচেতন হই। কিন্তু
আমরা তো এতো বোকা জেনেও না জানার ভান করে বসে আছি। নবী করিম সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো হাদীসে এটাও বলেছিলেন উমর (রাঃ) কে,' বেহেশতে আমি
তোমার ঘর দেখে এসেছি, তখন কিন্তু উমর (রাঃ) ঠিক পৃথিবীতে বেঁচে
ছিলেন।মেরাজে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুগন্ধ পেয়ে
ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ' কোথা থেকে এই সুগন্ধ আসছে।'
তখন ফেরেশতারা জবাবে বললেন, ' বিবি আছিয়ার ঘর থেকে এমন সুগন্ধ আসছে।
রাস্তায় নারীরা নগ্ন হয়ে চলছে তারা নিজেরাও জানে না আল্লাহ অলরেডি তাদের
জন্য জাহান্নামের জায়গা ঠিক করে রেখেছেন। একজন নারী কেবল নিজের ক্ষতিই করে
না সে অধিক পুরুষের হৃদয়ের নূর কেড়ে নেয় যার কারণে বেশিরভাগ নারীরাই
জাহান্নামী।
তাদের মাথাটা আল্লাহর কাছে নত করে না।যখন ইসলামের কিছু
উপদেশ দিবেন যে পর্দা করো। তখন তারা বিভিন্ন ফতুয়া দিবে আপনাকে।কে জানি
তাদের ব্রেইনকে ওয়াশ করে রেখেছে। কে করেছে জানেন তো? সে হলো দা-জ্জাল।
দা-জ্জালের শেষ অনুসারী হবে এক শ্রেনীর নারী।ইব-লিশকে আপনি না দেখলেও সে
কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলছে।ঠিক তেমনি দাজ্জালও নারীদের ব্রেইন ওয়াশ করার
ক্ষমতা রাখে। জাহান্নামে সব আপনার জন্য রেডি।কেয়ামতের আলামতের মধ্যে
আরেকটি আলামত হলো মেয়েদেরকে বাজারের পণ্য বানানো হবে। তাই তো হচ্ছে।মেয়েরা
ছেলেদের পোশাক পড়বে। এখানে শুধু গায়ের পোশাককেই বুঝায় নি।এখানে ক্ষমতাকেও
বুঝানো হয়েছে। যেমন নারীরা ছেলেদের অধিকার নিবে। তারা নগ্ন হয়ে ঘুরছে।যারা
চাকরি করে তাদের বিশেষ কথা হলো তার বাচ্চা কে দেখাশোনা করবে? অবশ্যই হয়তো
কাজের মেয়ে। কিন্তু তার নৈতিক, ইসলামিক শিক্ষাগুলো কি ঠিকভাবে পাচ্ছে?
নারীরা পোশাক পরে পুরুষের। আর তার স্বামী যদি খুঁজে স্ত্রীর আনন্দ তখন তার
স্ত্রী বিজি নিজের কাজ নিয়ে। সে স্বামী জড়িয়ে পড়বে যিনায়। আর সন্তানটা যখন
বড় হবে তখন সে হিংস্র হবে পশুত্ব বেড়ে যাবে। সে সন্তান স্নেহ পায়নি সে কি
করে ভালো হতে পারে। কাঁদবার আগে একবার ভাবুন আপনার কান্নার জন্য দায়ী
একমাত্র আপনি। আমরা যারা দ্বীনের পথে আছি তাদের সবার মা অবশ্যই একজন
শ্রেষ্ঠ মা। না তিনি কোনো জায়গায় চাকরি করতেন আর না বেপর্দাশীল। পৃথীবিতে
যে হারে সম-কামীতা বাড়ছে সে বিষয়ে নিজেদের সন্তানদের খেয়াল রাখেন এবং
অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষা সবার আগে দিবেন।অনেক নারীরা
ভাবখানা তাদের এমন যেনো তারা এভাবেই পৃথিবীতে থাকবে।এখন তো ঘরে ঘরে যিনা।
টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, একসাথে পড়াশোনা এগুলো সবকিছুই যি-নার অন্তর্ভুক্ত।
এমনকি সমকামীতাকে প্রমোট করা হচ্ছে।
নারীবাদ শ্লোগানের মধ্য আজকের সমাজ দিন দিন নারীদের কে
প্রগতির স্বার্থে কোনো গুনাহের কাজে যাবেন না। একজন নারী জান্নাতে যেতে হলে অবশ্যই নবীজির নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন,
১.পাচ ওয়াক্ত সালাত ঠিকঠাক আদায় করুন।
( ফিরাউনের স্ত্রী যদি সালাত আদায় করতে পারে আপনি কেন পারবেন না)
২. যখন সে তার রমাদান মাসের রোজা রাখবে।
৩.যখন সে তার পর্দা ঠিক রাখবে।( অবশ্যই ঢিলেঢালা) পর্দা মানে সবধরনের পর্দা মন থেকে শুরু করে সবকিছুর।
৪. স্বামীর আনুগত্য করা।( তবে স্বামী এমন কোনো অন্যায় যেমন আল্লাহ ও রাসূলের বিপক্ষে কিছু করতে বলে অবশ্যই করবেন না)
আজকাল আমরা নগ্নতাকে স্টাইল হিসেবে গ্রহণ করছি। আর তার কারণেই বেশিরভাগ নারী জাহান্নামী হবে।
লিখেছেনঃ আফরিন ইভা ( আল্লাহ তাকে উত্তম বিনিময় দান করেন।)
0 Comments